ফটো আর্কাইভ কীভাবে তৈরি করবেন

আর্কাইভ’র সোজা অর্থ হচ্ছে সাজানো-গোছানো সংগ্রহশালা? প্রতিটি বই’র লাইব্রেরি, যাদুঘর এক-একটি সংগ্রহশালা। প্রতিটি দোকানও এক ধরনের সংগ্রহশালা। দোকানী জানেন তার দোকানের কোথায় কী আছে, নতুন পণ্য যোগ হলে কোথ ায় তা রাখতে হবে। প্রতিটি পাবলিক ফটো-স্টুডিও এক-একটি সংগ্রহশালা। ১০ বছর আগে তোলা কোনো ছবি তারা মুহূর্তেই বের করেন এবং প্রিন্ট দিয়ে থাকেন । আপনি হয়ত একজন আর্ট ফটোগ্রাফার, ফটো-স্টকিস্ট কিংবা কমার্শিয়াল ফটোগ্রাফার। আপনার ছবিগুলো যদি এলো-মেলোভাবে রাখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন, তা হলে পাঁচ বছর পরে আপনার কাছে সবকিছু তালগোল পাকিয়ে যাবে। আপনার জিনিস, আপনিই জানবেন না আপনার কি আছে, কোথায় আছে, কীভাবে আছে। অতএব এখন থেকেই আর্কাইভ তৈরি করার প্র্যাকটিস শুরু করুন।

একটি ফটো আর্কাইভ থেকে কী কী সুবিধা পাওয়া সম্ভব হতে পারে:

১) বিশেষ বিশেষ বিষয়ের ছবিগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে পাওয়া সম্ভব।

২) একই বিষয়ের নতুন ছবিগুলোকে ঐ সব ফোল্ডারে যোগ দেয়া সম্ভব হবে ।

৩) বিভিন্ন ফোল্ডারের ছবিগুলোকে ক্রমধারা ঠিক রেখে থাকা সম্ভব হবে।

৪) বিশেষ কি-ওয়ার্ড যুক্ত এক/একাধিক ছবিকে হাজার হাজার ছবি থেকে আলাদা করা সম্ভব।

৫) যার ছবির আর্কাইভ তিনি যে সুবিধাগুলো পাবেন, অন্যেরাও (দেশে/বিদেশে) একই নিয়মে সেই সুবিধাগুলো পাবেন।

৬) ভালো, অপেক্ষাকৃত ভালো, সবচেয়ে ভালো; এভাবে ক্রমানুসারে ছবিগুলোকে আলাদা করা যাবে।

ব্যবহার অনুযায়ী ফটো-আর্কাইভের ধরন

১) পারিবারিক ছবির আর্কাইভ,

২) সরকারী/আধাসরকারী প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল আর্কাইভ, ৩) সৌখিন কিংবা আর্ট ফটোগ্রাফির আর্কাইভ,

৪) স্টক ফটোগ্রাফির আর্কাইভ,

৫) ফটো-স্টুডিওর আর্কাইভ,

৬) কাজের স্যাম্পলের আর্কাইভ ইত্যাদি।

ফটো-আর্কাইভ তৈরি করার ব্যাপারে কিছু পরামর্শ

১) বিষয়বস্তু অনুযায়ী একাধিক ফোল্ডার নির্বাচন করুন, সহজবোধ্য এবং ছোট ফোল্ডার নেম দিন। ফোল্ডারের সংখ্যা খুব বেশি না হওয়া ভালো।

২) ফোল্ডার নেমের শুরুতে ক্রমিক সংখ্যা ব্যবহার করুন, যেমন 01 থেকে 20।

৩) ফোল্ডার নেমের ক্রমিক সংখ্যাটি ঐ ফোল্ডারের অন্তরগত ফাইলনেমে অন্তর্ভূক্ত করতে পারেন, এতে ফাইল নেম দেখে ছবিটি কোন ফোল্ডারের অন্তর্গত তা সহজেই বোঝা যাবে।

৪) ফাইলনেমগুলোর শুরুতে একটি ক্রমিক নাম্বার যুক্ত হওয়া উচিত। এটি তিন অংকের হলে মোট 999টি ছবি পরপর সাজাতে পারবেন। এটি চার অংকের হলে মোট 9999টি ছবি পরপর সাজাতে পারবেন। এই নাম্বারগুলো উল্টোদিক থেকে দিতে পারলে শেষে যোগ দেয়া ছবিগুলো প্রথমেই পেয়ে যাবেন । ৫) ফাইলনেমে কয়েকটি অক্ষর থাকবে যা সংক্ষেপে বিষয়বস্তুকে নির্দেশ করতে পারে। যেমন, রিভার বোঝাতে Rvr লেখা যেতে পারে। একটি নদীর ছবির ফাইল নেম হতে পারে: 01- Rvr-067

এখানে 01 হচ্ছে ফোল্ডার নির্দেশক নাম্বার, Rvr বোঝাচ্ছে এটি নদীর ছবি এবং 067 হচ্ছে বিষয়বস্তু অনুযায়ী ফাইলটির ক্রমিক নাম্বার ।

৬) ফাইলনেম এত বড় দেয়া যাবে না যে কম্পিউটার পুরো নামটি না দেখায়।

৭) প্রথমে হাই-রেজ ছবি দিয়ে আর্কাইভ তৈরি করুন, এতে যাবতীয় তথ্য যোগ করুন, পরে আর্কাইভটির কপি করে, ব্যাচ রিসাইজের মাধ্যমে লো-রেজ ভার্সন তৈরি করুন। তথ্যগুলো আপনাআপনি লো-রেজ ভার্সনে কপি হয়ে আসবে।

৮) ফটো-আর্কাইভ তৈরি করার আগে চিন্তা-ভাবনা এবং পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে একটি কার্যধারা নির্ধারণ করে তা লিপিবদ্ধ করুন। এটি সামনে রেখে ঠাণ্ডা মাথায় ক্রমধারা ঠিক রেখে আপনার আর্কাইভ তৈরি করুন।

৯) মনে রাখবেন একই ফোল্ডারে দুটো ছবির একই ফাইলনেম দিয়ে দিলে আগের ছবিটি রিপ্লেস হয়ে যেতে পারে ।

একটি ফটো-আর্কাইভ বানাতে পরপর যে কাজগুলো করতে হবে

মনে করুন গত এক বছরে আপনি পাঁচ হাজারের মত ছবি তুলেছেন। ছবিগুলো বিভিন্ন বিষয়ের বিভিন্ন স্থানে তোলা। এই ছবিগুলো একাধিক ফোল্ডারে আছে। এই ছবিগুলো দিয়ে নতুন একটি আর্কাইভ বানাতে চাচ্ছেন।

Adobe Bridge নামক সফটঅয়ার দিয়ে কাজগুলো খুব সহজে করা যাবে।

১) সব ছবি একটি ফোল্ডারে আনুন: হার্ডডিস্কের যে পার্টিশনে বেশি খালি জায়গা আছে, সেখানে NewArchive নাম দিয়ে একটি নতুন ফোল্ডার বানিয়ে সেখানে আপনার তোলা ছবিগুলো কপি করে আনুন ।

২) বিষয়বস্তু অনুসারে ছবি বিভাজন করুন: আপনার তোলা ছবিগুলো যত রকমের হতে পারে New Archive এর মধ্যে ততগুলোসাব ফোল্ডার তৈরি করুন। যেমন: 01 Landscape. 02-People, 03-Historical, 03-Historical, 04-BirdAnimal ইত্যাদি।

একই বা কাছাকাছি সময়ে তোলা ছবিগুলোর মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ের ছবি থাকতে পারে। যেমন, ল্যান্ডস্কেপ ধরনের ছবি তুলতে গিয়ে আপনি কিছু পোরট্রেট তুলে ফেলতে পারেন। এভাবে তোলা ছবিগুলোকে আলাদা করে নিতে হবে। যে ছবি যে বিষয়ের সেটাকে সংশ্লিষ্ট ফোল্ডারে কাট করে নিয়ে নিন।

৩) সাবফোল্ডারের ভেতরের ছবিগুলো রিনেম করুন: আগেই বলেছি সাবফোল্ডারের ভেতরের ফাইলগুলোর নামে বিষয়ভিত্তিক ফোল্ডারের নাম্বারটি রাখবেন। ছবিগুলো যেটিতে যে বিষয়টি প্রধান, তার নামে ঐ বিষয়টি নির্দেশ করতে কয়েকটি অক্ষর ব্যবহার করতে পারেন। যেমন, ল্যান্ডস্কেপ ছবিগুলোর মধ্যে নদী, বন, পাহাড়, সমুদ্র ইত্যাদি বিষয় প্রধান থাকতে পারে। এগুলোর নামে যথাক্রমে Rvr, Frest, Hill, Sea ইত্যাদি শব্দাংশ যোগ করা যেতে পারে। ফাইলগুলোর নাম দাড়াতে পারে-

01-Rvr-001, 01-Rvr-002, 01-Rvr-003 upto 999

01-Frest-001, 01-Frst-002, 01-Frst-003 upto 999

01-Hill-001, 01-Hill-002, 01-Hill-003 upto 999

01-Sea-001, 01-Sea-002, 01-Sea-003 upto 999

বিষয়বস্তু অনুযায়ী নাম্বার কম থেকে বেশি’র দিকে না গিয়ে বেশি থেকে কম’র দিকে আসতে পারেন। বেশি থেকে কম’র দিকে আসলে ওপরের নাম্বারগুলো যা দাড়াবে

01-Rvr-999, 01-Rvr-998, 01-Rvr-997 upto 001,

01 Frest-999, 01- Frst – 998, 01- Frst – 997 Supto 001.

01-Hill-999, 01-Hill-998, 01-Hill-997 upto 001.

01-Sea-999, 01-Sea-998, 01-Sea-998 upto 001,

ছবির নাম্বার কম থেকে বেশি’র দিকে গেলে শেষে যোগ দেয়া ছবি শেষে থাকবে । ছবির নাম্বার বেশি থেকে কম’র দিকে গেলে শেষে যোগ দেয়া ছবি প্রথমে থাকবে। আপনি যদি শেষে যোগ দেয়া ছবি প্রথমে দেখতে চান তবে ছবির নাম্বার বেশি থেকে কম’র দিকে আসুন। এভাবে নাম্বার দেয়া একটু জটিল, তবে পরে সুবিধা পাবেন বেশি।

৪) অ্যাডোবি ব্রিজ দিয়ে ছবির ফাইল ইনফো (file info ) পুরণ করুন: ফাইল ইনফোতে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপুর্ণ: ফটোগ্রাফারের নাম, ঠিকানা, কপি রাইট, কি-ওয়ার্ড ইত্যাদি কি-ওয়ার্ড সেট করার সময় মনে রাখতে কত রকম শব্দ/শব্দাংশ দিয়ে এই ছবিটি খোঁজা হতে পারে, তত রকম শব্দ/শব্দাংশ কি-ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। আপনি যেমন ছবি সার্চ করবেন, দেশে-বিদেশের অন্য যে কেউ ছবি সার্চ করবে। অতএব কি-ওয়ার্ডের শব্দ/শব্দাংশগুলো সংগত এবং সঠিক বানানে হতে হবে। একই অর্থ বোঝায় এ রকম একাধিক শব্দ কি-ওয়ার্ড হতে পারে। এগুলো ইংরেজিতে হওয়া উচিত। ফোন নাম্বারের সাথে নিজের দেশের কোড নাম্বার জুরিয়ে দেবেন।

একাধিক কি-ওয়ার্ড লেখার সময় প্রতিটির পর কমা (,) কিংবা সেমিকলন (:) ব্যবহার করতে হয়। যেমন, নৌকাসহ পদ্মা নদীর একটি ছবির জন্য এভাবে কি-ওয়ার্ড লেখা যেতে পারে:

The Padma, River, River of Bangladesh, Boat, Boat on water. Water,

যখন যে ধরনের ছবির কি-ওয়ার্ড লিখছেন, তখন ঐ ধরনের ছবির জন্য যত রকম কি-ওয়ার্ড হতে পারে, তা এমএস ওয়ার্ডের একটি ফাইলে আগে লিখে নিতে পারেন। সেখানে বানান শুদ্ধ করার সুবিধা পাবেন। ঐ ওয়ার্ড ফাইল থেকে প্রয়োজনীয় কি- ওয়ার্ডগুলো কপি করে এনে ফাইল ইনফোতে বসাতে পারবেন।

অ্যাডোবি ব্রিজে ফাইল ইনফো সেট করা একটি ছবির ফাইল ইনফো নতুন কোনো একটি/একাধিক ছবিতে বসাতে পারেন।

নতুন ছবিটির ফাইল ইনফো এডিট করতে পারেন। একই ধরনের কিংবা একই বিষয়ের অনেকগুলো ছবি একসাথে সিলেক্ট করে নিয়ে ফাইল ইনফো সেট করতে পারেন ।

৫) স্টার সংখ্যা দিয়ে ছবির রেটিং করুন: সবচেয়ে বেশি পছন্দের ছবিগুলোতে ৫স্টার, অপেক্ষাকৃত কম পছন্দের ছবিগুলোতে ৪/৩/২/১/০ স্টার সেট করুন। এ ব্যাপারে অন্য একজন ভালো ফটোগ্রাফারের সাহায্য নিতে পারেন।

ভুল-ত্রুটি পরীক্ষা করুন, পরীক্ষা করুন কাজ করে কি না।

আর্কাইভটির একটি সুবিধাজনক নাম দিন। যেমন, Prism Photo-08-2016.

08-2016 উল্লেখ থাকায় আর্কাইভ তৈরির সময়কাল বোঝা যাবে। এই আর্কাইভটি ২০১৬ সালের আগস্ট মাসে তৈরি করা হয়েছে।

ধরে নিতে পারেন আপনার আর্কাইভ তৈরি হয়ে গেল।

আর্কাইভটির একটি কপি করুন এবং একটি লো-রেজ ভার্সন তৈরি করুন। এবার ব্যাকআপ হার্ড ডিস্কে কপি করে রাখুন। যতবার আর্কাইভটির আপগ্রেড (কোনো পরিবর্তন, নতুন ছবি যোগ করা) করবেন, ততবার এর ব্যাকআপটিও আপগ্রেড করতে ভুলবেন না ।

পুরাতন আর্কাইভে নতুন ছবি যোগ

মনে করুন গত বছর পাঁচ হাজার ছবি দিয়ে একটি আর্কাইভ তৈরি করেছিলেন। এই বছর তিন হাজার নতুন ছবি তুলেছেন, সেগুলো পুরাতন আর্কাইভে যোগ দিয়ে আর্কাইভটির আপডেট করতে চান। যাঁরা ক্যালেন্ডারের জন্য ছবির স্টক করেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে এই কাজটি করা ভালো। তা হলে অক্টোবর মাসে নতুন ছবিসহ আপনার ক্লায়েন্টকে আর্কাইভ দেখাতে পারবেন।

১) নতুন সব ছবি New Photos নাম দিয়ে একটি ফোল্ডারে কপি করে আনুন ।

২) আগের আর্কাইভে যতগুলো সাব ফোল্ডার ছিল, নিউ ফটোজ ফোল্ডারে একই নামে একই নামে ততগুলো সাব ফোল্ডার তৈরি করুন।

৩) নিউ ফটোজ ফোল্ডারের ছবিগুলো বিষয়বস্তু অনুযায়ী নতুন সাব ফোল্ডারগুলোতে ঢালুন (কার্ট করে নিয়ে)।

৪) এবার এই বছরে তোলা ছবিগুলোর রিনেম করা পালা। এই কাজটা একটু জটিল। গত বছর তৈরি করা আর্কাইভে সর্বশেষে যোগ করা বিশেষ কোনো বিষয়ের ফাইল নেম কি ছিল তা নোট করুন (লিখে রাখুন)। যেমন, Sky বিষয়ের ছবিগুলোর সর্বশেষ নাম ছিল 01 – Sky-703. এখানে 01 হচ্ছে ফোল্ডার নাম্বার, sky হচ্ছে বিষয়ের নাম আর 703 হচ্ছে sky বিষয়ের ক্রমিক নাম্বার। যদি ৯৯৯ থেকে (বেশি থেকে কম) ক্রমিক নাম্বার দেয়ার নিয়ম গ্রহণ করা হয়ে থাকে তাহলে আকাশের নতুন ছবিটির নাম হতে হবে 01 Sky 702, এর পরেরটি হবে 01-Sky-701, তার পরেরটি হবে 01-Sky-701, তার পরেরটি হবে 01- Sky-700, তার পরেরটি হবে 01- Sky-699, আমরা নতুন ছবির ক্রমিক নাম্বার কমাচ্ছি, এতে ছবি দেখার সময় সব শেষে আপলোড করা ছবি সর্ব প্রথমে দেখাবে। কোনো ভিউয়ার/কাস্টমার প্রথমেই পুরনো ছবি (যা গত বছর তিনি দেখেছেন) দেখতে থাকলে ভাবতে পারেন, সব পুরনো ছবি, নতুন কোনো ছবি নেই।

এভাবে প্রতিটি বিষয়ের ছবি রিনেম করার আগে পুরোনো আর্কাইভে সর্বশেষে যোগ হওয়া ছবিটির নাম এবং নাম্বার দেখে নিয়ে সে অনুযায়ী নাম এবং নাম্বার দিতে হবে।

মনে রাখবেন ফাইল নাম্বার ভুল হলে, বিশেষ করে পুরোনো ছবির ফাইল নেম এবং নতুন ছবির ফাইল নেম একই হয়ে গেলে পুরোনো ছবিটি রিপ্লেসড হয়ে যেতে পারে, যেটা হতে পারে অপুরণীয় ক্ষতি।

৫) নতুন ছবিগুলোর ফাইল ইনফো পুরণ করুন। এ ক্ষেত্রে পুরনো আর্কাইভের একই বিষয়ের ছবির ফাইল ইনফো কপি

করে ব্যবহার করতে পারেন।

৬) এবার পুরোনো আর্কাইভে নতুন ছবি ঢালার পালা। সব কিছু ঠিকমতো হয়েছে কি না, দেখে নিয়ে কাজটি শুরু করবেন। পুরোনো আর্কাইভের হাই রেজ ভার্সনে নতুন ছবিগুলো কাট করে আনবেন। কাট করে আনতে এ জন্যই বলছি, যাতে কোনটা আনা হয়ে গেল আর কোনটা আনা হয়নি, বিষয়টা বোধগম্য থাকে।

পুরোনো আর্কাইভে নতুন ছবিগুলো যোগ হয়ে আর্কাইভটি আপগ্রেড হয়ে গেল।

৭) আপগ্রেডেড আর্কাইভটির নামের শেষে মাস এবং সাল পরিবর্তন করুন।

যেমন, পুরোনো আর্কাইভটির নাম ছিল Prism Photo-08-2016, আপগ্রেডেড আর্কাইভটির নাম হবে, Prism Photo-09-2017. এই নাম দেখে বোঝা যাবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আর্কাইভটি আপগ্রেড করা হয়েছে।

৮) আগের মতোই হাইরেজ আর্কাইভটি থেকে একটি লো-রেজ কপি তৈরি করুন ।

৯) যেহেতু নতুন আর্কাইভে পুরোনো আর্কাইভের সকল ছবিই আছে, সেহেতু পুরোনো আর্কাইভের কোনো কপি অন্য কোনো জায়গায় থাকলে তা ডিলেট করে সেখানে নতুন আর্কাইভটি রাখুন।

১০) আর্কাইভ অবশ্যই একাধিক হার্ডডিস্কে কপি করে রাখবেন, যাতে একটি হার্ডডিস্ক নষ্ট হলে অন্যটি থেকে কপি করতে পারেন।

বি.দ্র.: ছবির আর্কাইভ তৈরি করা কিংবা আপগ্রেড করার এই পদ্ধতি কোনো নির্ধারিত পদ্ধতি নয়, অভিজ্ঞতার আলোকে এই পদ্ধতি ডিজাইন করা হয়েছে। তবে এটি পরিক্ষীত। আপনি নিজেও সুবিধামতো কোনো পদ্ধতি তৈরি করে নিতে পারেন। তবে যে কোনো বড় কাজ একটি নির্দিষ্ট নিয়মে করতে হয়, সেখানে প্রতি মুহূর্তে ক্রিয়েটিভ হবেন না, মানে নিয়ম পরিবর্তন করতে যাবেন না, নতুবা সমস্যায় পড়বেন, সবকিছু এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।

Author: Rafiqul Islam

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top